সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বডিবিল্ডার - রতনতনু ঘাটি

বডিবিল্ডার

ঘুম থেকে ওঠে শুনি সে কী চিৎকার
জেঠুর বন্ধু তিন বডিবিল্ডার
ইয়াহু মাসল অত কে দেখেছে কবে?
ওজন তো কম করে দু'শো কেজি হবে।
এসেছেন আমাদের এই বাড়িতেই
আমরা ছোটরা সবে কাছে গেছি যেই

একজন বললেন, 'কী নাম তোমার?'
তক্ষুনি আমি ছুট, কাছে থাকি আর?
খুড়তুতো বোন মিঠি  ছুটছে পিছনে
যেন ডোরাকাটা বাঘ বেরিয়েছে বনে।
'অ্যাই দাদা, পারছি না, একটু দাঁড়া রে!'
ম্যারাথনে ছোটে যারা, এত জোরে পারে?
এসেছি পুকুর পাড়ে, দম নিয়ে বলি,
'এ বাড়িতে থাকা, নয় পিসিবাড়ি চলি।'
'অত বড়ো চেহারার মানুষকে লোকে
টিভি ছাড়া কাছ থেকে দেখেছে কি চোখে?
চল দাদা ফিরে যাই, দূর থেকে দেখি
ওই তো ছুটছে পিলু ভয় পেয়েছে কি?'
তিনজন পায়ে-পায়ে ঢুকলাম বাড়ি
জেঠিমা মস্ত রসগোল্লার হাঁড়ি
রাখতেই খুব খুশি তিনজন ফ্রেন্ড
তিনশোটা খেতে লাগে তিরিশ সেকেন্ড
তিন কেজি ভেজা ছোলা, টম্যাটো খানিক
জেঠু হেসে বললেন, 'আর একটু দিক?'
দু'ডজন করে ডিম সেদ্ধ খাবেন
খাতির হচ্ছে ঠিক? জেঠুও ভাবেন।
 বড়ো বড়ো তিন খানা বারকোশ পেতে
তিনশোটা লুচি ভেজে মা দিলেন খেতে।
সঙ্গে বেগুন ভাজা, ছোলার ডালও
ওঁরা খুশি, বললেন, 'আয়োজন ভালো!'
বাবাকে ডাকেন জেঠু, 'কই রে অশোক,
বেলা হল, দুপুরের আহারটা হোক!'
তড়িঘড়ি মা দিলেন পিঁড়িঢিঁড়ি পেতে
ওঁরা তিনজন এসে বসলেন খেতে
কুড়ি পিচ মাছভাজা, মুড়ো পাঁচখানা
দশ কেজি মাংসেও নেই কোনও মানা
চার কেজি দই  আর সঙ্গে পায়েস
খেয়েটেয়ে তিনজন করতে আয়েস
এসে যেই বললেন, আমরা তখন
চোখ ছানাবড়া আর উড়ুউড়ু মন
রূপকথা থেকে ওঁরা দাত্য দানো
এসেছেন আজ, মানো নাই মানো।

ওঁরা চলে যেতে জেঠু বললেন হেসে,
'এইবার সব কথা বলে দি শেষে।
এর সবটাই ছিল সিনেমা-শুটিং!'
আমরা ছোটরা শুনে হাসিতে লুটিং।
-----------------

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আকাশতলা - দীপ মুখোপাধ্যায়

আকাশতলা - দীপ মুখোপাধ্যায় আকাশতলা চোখ জুড়ানো আকাশতলা ছাউনি পাতায় ঢাকা পথ উজিয়ে ছবির মতন শিউলি টগর আঁকা

শরৎ গাথা : আলী হোসেন

শরৎগাথা - আলী হোসেন  শরৎগাথা : আলী হোসেন  আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি             এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে।

পাখির ছড়া - রূপক চট্টরাজ

পাখির ছড়া একটি চড়াই সন্ধে হলেই উড়ে এসে বসত গিয়ে পোড়োবাড়ির ঘুলঘুলিতে,