সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ক্রান্তি - দীপঙ্কর বর্মন

ক্রান্তি - দীপঙ্কর বর্মন

দীপঙ্কর বর্মনের ছড়া -  ক্রান্তি

আকাশ মাঝে বিষাণ বাজে
যুদ্ধ-জাহাজ ক্ষুব্ধ সাজে
ব‌ইছে জোয়ার গাঙে
মানুষ কাঁদে মারণ-ফাঁদে
উষ্ণায়ণের নিস্ব বাঁধে
শব্দে পাহাড় ভাঙে

বাড়ছে শোষণ শাসন কালে,
তান্ত্রিকতার মৌন জালে,
বুর্জয়াদের ছলে;
লড়ছে কিষাণ নিশান তুলে,
যৌক্তিকতার তন্দ্রা ভুলে,
সর্বহারার দলে।

করছে আদল মাতাল তাঁরে,
বর্বরতার অন্ধকারে,
ভ্রষ্টাচারীর সাজে;
বাজছে মাদল এ ঘোর রণে,
রক্তিমতায় চণ্ডঞ্জাণে,
শিক্ষা দেবার কাজে।

আসছে তূফান ভীষণ দুলে,
মৌলিকতার ঝাণ্ডা তুলে
স্বত্বাধিকার বলে;
হাসছে গোপাল রাখাল ছেলে,
মিথ্যাচারের পাণ্ডা কেলে,
ব্যাঙ্গবিকার ছলে।

ঐ তো আসে ক্ষুব্ধ রাতে,
চণ্ডাকালীর খড়্গ হাতে,
ভীমরণে ভীম সেনা;
ঐ তো ভাসে প্রেক্ষাপটৈ,
ভণ্ডাচারীর স্বার্থ বটে
বাড়ছে দশের দেনা

আসছে ধেয়ে আসছে গেঁয়ে,
মৎস্য-জীবির নৌকা বেয়ে,
অগাধ মনের বলে;
আসছে সারে আসছে ভারে,
মসনদের ঐ সিংহ দ্বারে,
শ্রমিক-কৃষক-জেলে।

ভূঁইতে আলো মনমাতালো,
রং-বেরংয়ের সোলতে গুলো,
ক্ষীন দোটানায় জ্বলে,
নাই তো ভালো ধূম ছড়ানোয়,
চোখ ধ়াধাঁনোয় ভূত ভাবানোয়,
প্রাণবায়ু যায় চলে।

হয়তো কেহ সেবায় ভোলে,
দাম্ভিকতার ঠান্ডা ঘোলে,
আচ্ছা প্রবীণ নেতা;
নয়তো কেহ আশায় দোলে,
দুর্বিপাকের পাখনা মেলে,
সাচ্চা নবীন-চেতা।

কেউ বা আবার নেশায় ভণে,
স্বৈরাচারীর উদ্গীরণে,
একটু কথায় ভেসে;
সেওবা পাশার প্যাচের চালে,
ডিগবাজি খায় উল্টা তালে,
একটু আবার হেসে।

তাইতো হাজার বেকার মরে,
সংসারের ঐ দৈনে পূড়ে,
দুর্দিনে দুর্ভোগে;
নয়তো বেকার বেগার ঘোরে,
সরকারের ঐ মৌন দ্বারে,
দুর্বারে দুর্যোগে।

ফলতি দশের পুষ্কলি জাম,
ছন্নছায়ে ছিনলোরে বাম,
যৌথে শরিক দলে;
চলতি দেশের মুষ্কিলাসান,
ভিন্ন বেশে হানছেরে ডান,
দ্বৈধে পরিঘ বলে।

ছন্নছায়ের ছন্নাবেশে,
ছল-চাতুরীয ছদ্মবেশে,
চ্যাংড়ামি তার মাঝে;
মরছে কিষাণ-গরীব মূলে,
ফুল বাবূদের মর্জি পূলে,
ভণ্ডামি আর কাজে।

জঙ্গলের ঐ বিরাট গাছে,
চ্যানচেনাচ্যান ফিঙে নাচে,
ছন্দঃপতন আসে;
বোম বলে সব তৈরী আছে ,
ট্যান্ ট্যানা ট্যান ঝাণ্ডা হাতে,
ইন্দ্রপতন হাসে।

সন্ধানীদের ভঙ্গি বিভায়,
আন্দোলনের ছন্দ প্রভায়,
প্রষ্ফুটে ঝুলঝাড়ে;
সন্ত্রাসীদের নাঙ্গা হৃদয়
মন্দানিলেই বিদ্ধ বোধ হয়,
অস্ফুটে তোলপাড়ে।

গুপ্তবাহের ভ্রান্ত তিনি
সন্তরনেই ক্লান্ত তিনি,
হাওয়ায় ক্রান্তি দিকে;
অগ্নি যুগের লগ্নি শ্লাঘায়,
সংগ্রামে তাই বৈরী বিঁধায়,
পাওয়ার ভ্রান্তি ফিকে।

সব যেন ভাই কলুর বলদ,
গিন্নীপনায় গোড়ায় গলদ,
কেউকেটা তঞ্চকের;
রব কানে পাই জটীল জলদ,
বজ্রনাদের প্যতুল প্রলোভ,
ফেউ ঠেঁটা ভক্ষকের।

পড়ছে যারাই লোলুপ জালে,
রাজনীতির ঐ কুটক চালে,
সন্তালে সন্তাপে;
মরছে তারাই সুলুপ কলে,
কূটনীতির ঐ শোলক বলে,
কন্দুকে বন্দুকে।

দণ্ডী বাচাল ভৃঙ্গরোলে,
রক্ত প্রবাল বদ্ধমূলে,
পুষ্করিনীর নীরে;
মত্ত তুফান ক্ষুন্নে দূলে,
প্রান্ত প্রদেশ বদ্ধমূলে,
দিক্দারি সব তীরে।

ধন্য মোদের দেশের ভূমি,
পূর্ণ যে তার লক্ষ্যে তূমি,
চক্ষে বিভুর সারা;
'পন্ন মায়ের জন্যে যাঁরা,
পূর্ণ জয়ের পক্ষে তাঁরা,
বক্ষে রুধির ধারা।

শুনতে পেলাম তোমার গানে,
সৃষ্টি সূধার বৃষ্টি দানে,
নিত্য আমার প্রাণে;
তাই তো এলাম তোমার দ্বারে,
হৃদ্য দ্বিধার শুদ্ধাচারে,
সত্য তোমার টানে।

মন্তব্যসমূহ

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>

বাংলা সাহিত্য : ছড়ার পাতার জনপ্রিয় ছড়াগুলো পড়ুন

বাজার - অমরেশ বিশ্বাস

বাজার - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস এর ছড়া :  বাজার বাজেরে গিয়ে হটাৎই যেন মাথাটা ঘুরে গেল পড়ে যেতে দেখেই সবাই দৌড়ে ছুটে এল। কী হয়েছে, কী হয়েছে, পড়ল কেমন করে? কেউ বলে, যা নিয়ে আয় তো ডাক্তারকে ধরে। কি হয়েছে, পড়ল কেন? জানা তা দরকার বাজারে এখন এমন ঘটনা ঘটছে যে আকছার। ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিল কেউ বা দিল হাওয়া কেউ জানতে চায় সকালে কী হয়েছে খাওয়া? ততক্ষনে ডাক্তার বাবু হাজির হলেন এসে “কী হয়েছে?” চান জানতে শুকনো হাসি হেসে। ডাক্তারকে তখন খুলে বলল আত্মারাম ভাবিনি হবে ডালের এমন আকাশ ছোঁয়া দাম। বলুন দেখি তেলের দাম কোথায় গেছে চড়ে এমন যদি দাম হয় তবে কে যাবে না পড়ে? মাছ, মাংসের দামের কথা আর বলতে চাইনে বলা মুশকিল ও সব জিনিস কত কাল যে খাইনে। রাজভোগ নয়, শুধু দু-মুঠো ডাল ভাতই তো চাই দাম দেখে তো, হচ্ছে মনে তা ও ভাগ্যে নাই। পাঁচশ টাকার কড়কড়ে নোট ফুরোয় নিমেষেতে কত না ঘাম হয় ঝরাতে এক খানা নোট পেতে। সব জিনিসের দাম বাড়ছে হোক সে আলু, পেয়াজ হয় না কেন মানুষের দাম বাড়ার কোন রেওয়াজ। ডাক্তার বাবু, বাজারে এলেই বাড়ে রক্ত চাপ ছাপোষা সব মানুষ গুলোর বাঁচাই যেন পাপ। -------xx------

বাংলাটা ঠিক আসে না! - ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

বাংলাটা ঠিক আসে না! বাংলাটা ঠিক আসে না! - ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা। ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে ‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না। ‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফাস্ট’ ল্যাঙ্গুয়েজ হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ। কী লাভ বলুন বাংলা প’ড়ে? বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে? বেঙ্গলি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ তাই, তেমন ভালোবাসে না জানে দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না। বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই কোনও ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে? ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’ এদের পাশে না জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না। বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে। কীসের গরব? কীসের আশা? আর চলে না বাংলা ভাষা কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না? জানেন দাদা, ...

আকাশতলা - দীপ মুখোপাধ্যায়

আকাশতলা আকাশতলা - দীপ মুখোপাধ্যায় চোখ জুড়ানো আকাশতলা ছাউনি পাতায় ঢাকা পথ উজিয়ে ছবির মতন শিউলি টগর আঁকা দাপিয়ে বেড়ায় মাঠ-বেমাঠে সবজে ফড়িংগুলো দুধসাদা বক ঠোঁট বাড়িয়ে গুগলি-শামুক ছুঁল নকশি-কাঁথার থরবিথরে সুয্যি আলো ছড়ায় মাছ লাফালো তালপুকুরে হাঁসরা হেসে গড়ায় বনবাদাড়ে ঘাসপাতারা নরম হাওয়ায় দোলে নীলচে আকাশ ঠিক তখুনি মন রঙিয়ে তোলে তরতরিয়ে গিরগিটিটা ঝোপ ফুঁড়ে যায় ঝোপে এক নিমেষে যায় মিলিয়ে লতার ঘেরা টোপে কিচমিচিয়ে ছোট্ট পাখি খুটছে এটা ওটা পদ্মপাতায় ঝিকিয়ে ওঠে আলতো জলের ফোঁটা মনভোলানো রহস্যময় রঙ লেগেছে ফুলে মুখ বাড়িয়ে দেখছি মনের জানলা কপাট খুলে হাত ছানি দেয় দিব্যি ওরা কেউ বেশি কেউ কম মেঘ ছায়া রোদ এড়িয়ে যেতে পারব না একদম *****------*****

আকাশের নীলে তারা - বাসুদেব খাস্তগীর

আকাশের নীলে তারা - বাসুদেব খাস্তগীর বাসুদেব খাস্তগীর :  আকাশের নীলে তারা আকাশ মেখেছে গায়ে নীল রঙ অপরূপ তার রূপ নীল যেন ঝরে পৃথিবীর বুকে আনন্দে টুপ টুপ। আকাশের বুকে এতো কেনো নীল? প্রশ্নটা জাগে মনে কিছু নীল এনে পৃথিবীর বুকে দিতে চাই জনে জনে। অগণন তারা জ্বলজ্বল করে আকাশের বুকে হাসে আকাশ তো নয় একাকী কখনো কতো তারা তার পাশে। আকাশের নীল হতে যদি পারি হাসতো এ বুকে তারা আকাশ বলছে 'শোন হে খোকন হয়ো না আত্মহারা। মন করো সাদা ফুটবে সাদায় মনের আকাশে নীল সাদা মনে নীল তারায় তারায় করবেই ঝিলমিল।' ---------xx-------

দুইটি ছড়াক্কা - সুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

দুইটি ছড়াক্কা - সুমী চট্টোপাধ্যায় দাস সুমি চট্টোপাধ্যায় দাস -  দুই ফারাক্কা ১) খরস্রোতা দেখব বলে নদীর ছোটা পৌঁছে গেলাম ফারাক্কা, খুব খুশিতে উছলে নদী বলল আমায়, এলিই যদি বলিস গিয়ে দামোদরে পাচ্ছে প্রচার ঘরে ঘরে বাদল-ভরা নদের মতো দুর্গাপুরের ছড়াক্কা৷ ২) শহীদ বুকের রক্ত ঢাললো যাঁরা স্বাধীনতার শ্বেতবেদীতে ভুললে তাঁদের চরম পাপ, নেই যে ক্ষমা, নেই যে মাপ, আত্মদানের ফুলবাগিচা গোলাপ ফোটায়, ব্যথার খোঁচা! স্মরণ করি, বরণ করি শহীদগণে শুদ্ধ চিতে৷

গদাধর সরকার : যে মেয়েটা

যে মেয়েটা : গদাধর সরকার গদাধর সরকারের ছড়া -  যে মেয়েটা যে মেয়েটা ছড়ায় সাগর পারুল চাঁপার মনে যে মেয়েটা খুশির খবর পাঠায় হলুদ বনে যে মেয়েটা ঘুরে বেড়ায় শিরিন নদীর বাঁকে যে মেয়েটা আপন মনে উদাস দুপুর আঁকে যে মেয়েটা ধুলো ওড়ায় কুসুম পুরের পথে যে মেয়েটা আবির ছড়ায় লাজুক মনের মঠে যে মেয়েটা সাহস জাগায় আশার প্রদীপ জ্বেলে যে মেয়েটা রামধনু মন । সরায় আঁধার ঠেলে যে মেয়েটা রূপকথা পুর । নুপুর পরে নাচে যে মেয়েটা সোহাগ দিয়ে ফোটায় কুঁড়ি গাছে যে মেয়েটা রোদের কুচি ছড়ায় নদীর কুলে যে মেয়েটা মনের আগল সদাই রাখে খুলে যে মেয়েটা শালুক ফুলের আদর ভালোবাসে যে মেয়েটা খুশির পালক ছড়ায় সবুজ ঘাসে যে মেয়েটা টগর, পলাশ, তিতির পুরের ছুটি যে মেয়েটা নদীর সাঁকো । বুনো হাঁসের জুটি যে মেয়েটা সাঁতার কাটে গাঁয়ের পুকুর ঘাটে যে মেয়েটা কাগজ কুড়োয় নিঝুম পুরের হাটে যে মেয়েটা ঝুমঝুমি ভোর, কেবল কাছে ডাকে সেই মেয়েটাই বাঁশি আমার । হৃদয় জুড়ে থাকে

কুড়িয়ে পাওয়া ঘুড়ি - মুন্সী সাদিক সালেহ

কুড়িয়ে পাওয়া ঘুড়ি - মুন্সী সাদিক সালেহ   মুন্সী সাদিক সালেহ -  কুড়িয়ে পাওয়া ঘড়ি কাঁটা তারের ওপর দিয়ে ঘুড়ি- ওড়াচ্ছে কে নীলাকাশটা জুড়ি? ঢাউস ঘুড়ির ওড়ার বাহার দেখে গাংচিল কি অমনি উড়তে শেখে? রঙ্গিন যে তার ঝালরগুলো বেশ! তারচেয়ে কি রঙ্গিন ঘুড়ির দেশ? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি ছিঁড়ে ঢাউস ঘুড়ি ছুটছে ধীরেধীরে! সুতোকাটায় গোত্তা খেতে খেতে সাধের ঘুড়ি আছড়ে পড়ল ক্ষেতে। দৌড়ে গিয়ে কুড়িয়ে নিলাম তাকে বন্ধুরা সব জুটলো আমার ডাকে। অবাক হয়ে দেখছি ঘুড়ির দেহে সোনার বাংলা লিখলো তাতে কে হে? তার মানে কি ঘুড়ির দেশেও রবি- এঁকেছিলেন সোনার বাংলার ছবি? কুড়িয়ে পাওয়া ঘুড়ি বলছে, খোকা- এমন করে ভাবছিস কিরে বোকা? এদেশ ওদেশ দুই দেশেতেই উড়ি, দুই দেশেতেই আমার নামটি ঘুড়ি। কাঁটাতারের বেড়ার সাধ্যি কি রে রাখতে পারে আমায় আটকে ঘিরে? সোনার বাংলা টুকরো করলো যারা ঘুড়ির খবর জানতো নাকি তাঁরা? বাহ কি মজা আমিও হব ঘুড়ি ইচ্ছেমতো উড়বো আকাশ জুড়ি। এপার বাংলা ওপার বাংলা মিলে 'সোনার বাংলা' ঠাকুর লিখেছিলে। আমার সোনার বাংলাই ভালোবাসি হাজার জন্মে বাংলায় ফিরে আসি।

কেন এ যুদ্ধ - সতীশ বিশ্বাস

কেন এ যুদ্ধ  - সতীশ বিশ্বাস সতীশ বিশ্বাস এর ছড়া -  কেন এ যুদ্ধ কেন এ যুদ্ধআমি ছোট শিশু ভালবাসি খেতে টফি ও লজেঞ্চুষ, জানি না ওসামা-বিন-লাদেন কে, চিনি না কে জর্জ বুশ। আমি শুধু দেখি টিভির মধ্যে অনাথ শিশুর মুখ, দেখতে দেখতে চোখে জল আসে, টন টন করে বুক। আমার সঙ্গে ওই শিশুটির তফাত তো নেই কোন আমার মতই শরিরটা ওর , আমার মতই মনও। আমাকে যেমন ভালোবাসে বাবা, ওকে বাসে বাপজান, আলাদা শুধুই দেশ আমাদের ভারত ও আফগান। কেন এ যুদ্ধ? আর কোন পথ নেই কি যুদ্ধ ছাড়া? যুদ্ধ লেগেছে বলেই তো আজ এত শিশু ঘরহারা যুদ্ধ লেগেছে বলেই তো আজ শিশুদের চোখে জল, হাজার হাজার শিশুর স্বপ্ন হয়ে গেল নিষ্ফল। বড়দের হাত না-ই যদি কাঁপে ছোটদের প্রাণ নিতে, বল না মা, ছোটরা কীভাবে বাঁচবে এ পৃথিবীতে? -------xx------

পাখির ছড়া - রূপক চট্টরাজ

পাখির ছড়া   পাখির ছড়া - রূপক চট্টরাজ একটি চড়াই সন্ধে হলেই উড়ে এসে বসত গিয়ে পোড়োবাড়ির ঘুলঘুলিতে, টগর ফুলের গাছ ছিল এক বাড়ি ঘেষে সেই গাছেতে করত খেলা বলবুলিতে। বুলবুলিটার লাল ঝুটি আর পুচ্ছ কালো ডালে বসেই সুর ভাঁজত একা একা -- চড়াই উধাও! যেই না ফোটে ভোরের আলো কেউ জানে না কোথায় গেল, নাই রে দেখা।