সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলফিকার শাহাদাৎ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোথায় যাচ্ছি? - জুলফিকার শাহাদাৎ

কোথায় যাচ্ছি? জুলফিকার শাহাদাৎ কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? পায়ে-পায়ে শুধু হোঁচট খাচ্ছি দেখছি মেঘের আনাগোনাও বজ্র-উল্কার আওয়াজ পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি জানে না কেহ জীবিত হয়েও নিথর দেহ কাঠ-কয়লায় মিশেছে জীবন কেবলই লাশের গন্ধ পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? মানুষ নাকি হায়না আমরা? একে-অপরের তুলছি চামড়া মুখ দেখাদেখি বন্ধ রেখেছি আপনজনের রক্ত খাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় ভাসছি? রক্তনদীর কিনারে আসছি সাঁতার জানি না, ডুবেই মরবো তবুও আমরা খুশিতে হাসছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি?

কাকের বিয়ে - জুলফিকার শাহাদাৎ

কাকের বিয়ে জুলফিকার শাহাদাৎ  কাক গিয়েছে কোলকাতাতে সঙ্গে ছিল কোকিল, বলল কী কাক? শোন কোকিলা আমার বিয়ের উকিল... গঙ্গাপুরের এক কানিবক, বলবো তাকে গিয়ে, করতে এলাম বিয়ে। কোকিল বলল, আজ্ঞে, কোলকাতাতে ঘুরেফিরে কয়েকটা দিন যাকগে। এই সুযোগে খবর নেব কোথায় আছে ময়না? তাকে নিয়ে কিনতে হবে নতুন বউয়ের গয়না। কাক বলল, তাইরে কেনাকাটা করে না হয় গঙ্গাপুরে যাইরে। গঙ্গাপুরের উকিল বাবার পছন্দ খুব মিষ্টি খাবার তাই বলছি, দু’চার কেজি দই মিষ্টি নিসরে, কোকিল বলল, ইসরে! কোলকাতাতে ঘুরে ফিরে দই মিষ্টি নিয়ে কাক ও কোকিল হাজির হল গঙ্গাপুরে গিয়ে। গঙ্গাপুরে যাবার পর বক বলল, “কী খবর? ওহ, হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি, তোমার জন্য হন্যে হয়ে পাত্রী অনেক খুঁজেছি। ভাগ্য তোমার যা মন্দ কারোরই নও পছন্দ। দাও তো এবার ফি গো দেখবো ভেবে ভবিষ্যতে করতে পারি কী গো!” কী ঘটেছে তৎক্ষণাৎ বলছি শুনুন, অকস্মাৎ- মাথার উপর ভাঙল যেন হাঁড়ি, গোঁমড়া মুখে কাকটি তখন উড়াল দিল বাড়ি। ---------xx-------

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>