সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অমরেশ বিশ্বাস লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাজার - অমরেশ বিশ্বাস

বাজার - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস এর ছড়া :  বাজার বাজেরে গিয়ে হটাৎই যেন মাথাটা ঘুরে গেল পড়ে যেতে দেখেই সবাই দৌড়ে ছুটে এল। কী হয়েছে, কী হয়েছে, পড়ল কেমন করে? কেউ বলে, যা নিয়ে আয় তো ডাক্তারকে ধরে। কি হয়েছে, পড়ল কেন? জানা তা দরকার বাজারে এখন এমন ঘটনা ঘটছে যে আকছার। ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিল কেউ বা দিল হাওয়া কেউ জানতে চায় সকালে কী হয়েছে খাওয়া? ততক্ষনে ডাক্তার বাবু হাজির হলেন এসে “কী হয়েছে?” চান জানতে শুকনো হাসি হেসে। ডাক্তারকে তখন খুলে বলল আত্মারাম ভাবিনি হবে ডালের এমন আকাশ ছোঁয়া দাম। বলুন দেখি তেলের দাম কোথায় গেছে চড়ে এমন যদি দাম হয় তবে কে যাবে না পড়ে? মাছ, মাংসের দামের কথা আর বলতে চাইনে বলা মুশকিল ও সব জিনিস কত কাল যে খাইনে। রাজভোগ নয়, শুধু দু-মুঠো ডাল ভাতই তো চাই দাম দেখে তো, হচ্ছে মনে তা ও ভাগ্যে নাই। পাঁচশ টাকার কড়কড়ে নোট ফুরোয় নিমেষেতে কত না ঘাম হয় ঝরাতে এক খানা নোট পেতে। সব জিনিসের দাম বাড়ছে হোক সে আলু, পেয়াজ হয় না কেন মানুষের দাম বাড়ার কোন রেওয়াজ। ডাক্তার বাবু, বাজারে এলেই বাড়ে রক্ত চাপ ছাপোষা সব মানুষ গুলোর বাঁচাই যেন পাপ। -------xx------

চাকরি চাই - অমরেশ বিশ্বাস

চাকরি চাই - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস এর ছড়া -  চাকরি চাই লোকে বলে পুজো এলে সবাই খুশি হয় বলে বলুক লোকে তবে সত্যি মোটেই নয় ব্যথা যে খুব আমার বুকে কেমন করে বলি মুখে টাকাকড়ির আমাদানি নাই না আছে সঞ্চয়। ছেলেমেয়ে তাকিয়ে ঠায় বউ চেয়েছে শাড়ি ব্লেড কেনার পয়সা যে নাই মুখে লম্বা দাঁড়ি কেমন করে বায়না মেটাই এবার আমার হবে পেটাই বাঁচতে হলে বেচতে হবে বাপের ভিটে বাড়ি। পুজো এলে আনন্দেতে ভাবি ভেসে যাই কারখানাটা খুলবে কবে তা তো জানা নাই বছর বছর পুজো আসে আমার দুচোখ জলে ভাসে দুগগা মা'কে বলব এবার একটা চাকরি চাই। --------xx--------

মনের কথা - অমরেশ বিশ্বাস

মনের কথা - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস মনটা যদি পাখা মেলে কে রাখে আর ধরে দরজা এঁটে তখন তাকে যায় না রাখা ঘরে। ফুড়ুৎ করে যায় সে উড়ে যেথায় যেতে চায় মনকে বেঁধে রাখবে কে চার দেওয়াল সীমানায়। উড়ে গিয়ে আকাশেতে পাখির সাথে ওড়ে সবুজ ঘাসের গালিচাতে লুটিয়ে সে পড়ে। মন চাইলে যায় সে উড়ে মেলে দিয়ে ডানা এমন সুযোগ পেলে মনে কে রাখে আর মানা। আকাশ তলে খালে বিলে খোলা মাঠের দেশে যেথায় আকাশ মাটির বুকে পরম স্নেহে মেশে মন চলে যায় সেইখানেতে সেথায় করে খেলা ফুল পাখিদের সাথে খেলে যায় কেটে তার বেলা। খোলা আকাশ খোলা বাতাস সেথায় মানা নাই ভরলে উড়ান মন বলে চল সেথায় চলে যাই। কোথাও না যাই চাও যদি তাই নাও মানা সব তুলে ঘরকে খোলা আকাশ ভেবে দুঃখ যাব ভুলে।

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>