সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভাবিয়ে তুলছে - আনসার উল হক

ভাবিয়ে তুলছে ভাবিয়ে তুলছে - আনসার উল হক কোনদিকে যাও! বোনটিকে নাও সঙ্গে কখন কী হয় ঝড়ো হওয়া বয় বঙ্গে। সূর্যের তেজ ক্রমশঃ বাড়ছে, আরও বিকিরণ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই কারো। ঘাসগুলো কাঁপে ফুলগুলো কাঁপে শ’য়ে দিনেও কাঁপছে রাতেও কাঁপছে ভয়ে। মানুষ তবুও টিকি দাড়ি বয় কাঁধে জোৎস্নার আলো লুকোয় ভয়েতে চাঁদে। বিজ্ঞান নিয়ে মশকরা করে হাসে ভুমিকম্পতে শাঁখের আওয়াজ ভাসে। ভাবিয়ে তুলছে গল্পের গরু হায়! হেসে কুটিকুটি হয় সুকুমার রায়। ------xx-------

সেই সে কবি - রামকিশোর ভট্টাচার্য

সেই সে কবি সেই সে কবি - রামকিশোর ভট্টাচার্য সে ছিল সব এই আমাদের পদ্য পড়ার বইয়ে শিশুবেলার শব্দ যত ফুটতো কথার খই-এ ভোর হ'ল যেই জানলা খুলে সুয্যিমামার ডাক শালিক চড়ুই বুলবুলি আর দোয়েল ফিঙে কাক সবাই এসে শুনতো বসে মায়ের মুখের গান আজকে সেসব পড়লে মনে বুক করে আনচান বুকের কী আর দোষ বল ভাই নাম জানিনা কবি মনের ঘরে রাখা তবু ছন্দে আঁকা ছবি এই তো সেদিন হাসিখুশি বইটা পেয়ে ঘরে এক সে কবির নামটা আমার বড্ড মনে পড়ে তোমরা তাঁকে কেউ পড়নি! কেউ শোনোনি নাম! আমি তাঁকে রোজ সকালে প্রণামটি করতাম বলতো বাবা সেই সে তিনি কাব্যে রত্নাকর দু'শ বছর পার হয়েছে তবু এ অন্তর তর্ক অলঙ্কারে তাঁকে সাজিয়ে রেখে ঘরে প্রবীণ যত পণ্ডিতেরা আজও স্মরণ করে কিন্তু যারা আজকে সবাই পদ্যে নবাগত মদনমোহন নামটি মনে করেনা অন্তত --------xx--------

মন কি বাত : আলী হোসেন

ছড়াকার আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়া - মন কি বাত মন কি বাত রেকর্ড গড়ছি আমি যাবৎ কালে টাকার মূল্য সবচেয়ে নিম্ন গামী রেকর্ড ভাঙছি আমি মানুষের চে' দেখো এখন পশুর জীবন দামী রেকর্ড গড়ছি আমি দেশ নয় দেশবাসীর মূল্য অনেক গেছে নামি রেকর্ড ভাঙছি আমি দেশের টাকা বিদেশ যাওয়া অনুপাত হল দামি রেকর্ড গড়ছি আমি অপবিজ্ঞানের প্রচার দেখে বিজ্ঞান গেছে থামি রেকর্ড গড়ছি আমি যুক্তিতে নয় ভক্তিতে জয় এই মন্ত্রই দামি রেকর্ড গড়ছি আমি বেকার যুবক শিক্ষা ছেড়ে খেলছে দেখো রামি রেকর্ড ভাঙছি আমি স্কুল তুলে শিক্ষার মূলে আঘাত হানছি মামী রেকর্ড গড়ছি আমি জাতি নয় জাত-ধর্ম বড় বলছে দেশের স্বামী -----x---- ছড়াকারের আরও ছড়া পড়তে এখানে ক্লিক করুন

স্বাধীনতা কারে বলে - সেঁজুতি সাহা

স্বাধীনতা কারে বলে স্বাধীনতা কারে বলে - সেঁজুতি সাহা সেই তো কবে স্বাধীন হয়েছি তাড়িয়ে ব্রিটিশ-রাজ ভাঙতে পেরেছি শৃঙ্খলডোর প্রশ্ন যে জাগে আজ সতীদাহ আজ বে-আইনি হল ঘোষণায় রামমোহন রূপ কানোয়ার আজও জ্বলে ঐ স্বাধীনতা তুই শোন বিধবা-বিবাহ আইনি করতে কান্না নিলেন যিনি বঙ্গেই তিনি ত্যাজ্য কেন বিদ্যাসাগরকে চিনি? নিরুপমারা আগেও ছিলেন কাঁদছেন অন্য নামে নিশা শর্মারা লড়াইয়ে আজও প্রথা পণ নাই থামে আগে মেয়েরা কোঠিতে যেত আসতো যখন পয়গাম আজকের জ্যোতি অসহায় বড় মুখেশের বাড়ে নাম সাহেব তাড়িয়ে সাহেবিয়ানাকে করেছি যখন আপন মেট্রোর সেই আলিঙ্গনে কেনো বৃথা করি নিশি-যাপন বাহাত্তরের স্বাধীন আমরা বয়সে হয়েছি প্রবীণ তবু কেন আজ চিন্তাধারায় মন রয়ে গেল নবীন? প্রাপ্ত বয়স্ক দুটো-মন যদি কাছে আসতে চায় আধা-সাহেব এই আমাদের কেন মেনে নিতে এত ভয় প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ ছেড়ে এটুকু মেনেই নিলে হিংসা দ্বেষ আজ কমত অনেক শ্বাস নেওয়া যেত খুলে বেড়াজাল আর সহিষ্ণুতার পরাকাষ্ঠাটি পেরিয়ে জাতপাত আর সংকীর্ণতা দাও শিক্ষা-আলোয় সরিয়ে নতুন জাতির কারিগর হই প্রসারিত করে মন বুঝি বা বাঁচার এটাই উপায় ...

রামকিশোর ভট্টাচার্য - ঘোল

ঘোল রামকিশোর ভট্টাচার্য খাচ্ছি? না কি খাচ্ছি না? বুঝতে মোটেই পারছি না পারলে কি আর এসব কথা বলতে হয়! খাওয়ার এত ভড়ং তাই কুকুর বেড়াল তুলছে হাই খাওয়ার কথা বললে দেখি ভীষণ ভয়! খাদ্য কথার রকমফের পদ্ধতিও দেখছি ঢের ছাইপাঁশেরও বন্ধু যত হাসছে সব, খাওয়ার নেশায় সাঁঝসকাল মিথ্যে কথায় দিচ্ছি তাল সত্য যা তা মিথ্যে এবং অসম্ভব। কে যে কখন খাচ্ছে কি বুঝতে আদৌ পাচ্ছে কি? ভাবলে দেখি মগজ কখন চিচিং ফাঁক। সেই ফাঁকে সব গাছ গজায়! দু’কুল তখন থাক বজায়, বাজায় তখন নিজেই নিজের বিশাল ঢাক। বললে এসব বিস্ফোরক, সবাই যে যার উল্টে চোখ টানবে কোলে দিলখোলা সব কথার ঝোল। খাবার নেশায় হায়রে হায় কে যে কখন পাল্টি খায় বুঝতে দেখি নিজেই কত খাচ্ছি ঘোল।

অদ্বৈত মারুত - সম্ভাবনার আলো

সম্ভাবনার আলো অদ্বৈত মারুত দেশের প্রতি থাকে যদি অটুট প্রীতির বাঁধন সহজ তবেই হতে পারে অনেক কঠিন সাধন। গণতন্ত্রের ঘটলে ব্যাঘাত শান্তি যাবে চুলোয় মানবতার সব আবাহন মিশবে পথের ধুলোয়। সঙ্কটে আর সমস্যাতেই দেশ পতিত হলে রেহাই কারও জুটবে না তো হাজারও কৌশলে। একলা চলার নীতি ছেড়ে যৌথ চলাই ভালো তবেই উঁকি দেবে আবার সম্ভাবনার আলো।

কোথায় যাচ্ছি? - জুলফিকার শাহাদাৎ

কোথায় যাচ্ছি? জুলফিকার শাহাদাৎ কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? পায়ে-পায়ে শুধু হোঁচট খাচ্ছি দেখছি মেঘের আনাগোনাও বজ্র-উল্কার আওয়াজ পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি জানে না কেহ জীবিত হয়েও নিথর দেহ কাঠ-কয়লায় মিশেছে জীবন কেবলই লাশের গন্ধ পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? মানুষ নাকি হায়না আমরা? একে-অপরের তুলছি চামড়া মুখ দেখাদেখি বন্ধ রেখেছি আপনজনের রক্ত খাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় ভাসছি? রক্তনদীর কিনারে আসছি সাঁতার জানি না, ডুবেই মরবো তবুও আমরা খুশিতে হাসছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি?

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>