সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শরৎ গাথা : আলী হোসেন

শরৎগাথা - আলী হোসেন  শরৎগাথা : আলী হোসেন  আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি             এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                  নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। ------------****--------- * চো...

চোর পালালে - উজ্জ্বল বিশ্বাস

চোর পালালে চোর পালালে - উজ্জ্বল বিশ্বাস “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে” এই কথাটি মিথ্যা ভাই হাতেনাতেই মিলল প্রমাণ হলফ করেই বলছি তাই।   আসল কথা খুলেই বলি শুনুন সবাই মন দিয়ে অঙ্কে আমি ভীষণ কাঁচা সত্যি কথায় বলছি এ’   তাইতো সেদিন চোরকে দেখে শুয়েই ছিলাম চুপ করে একে একে গয়নাগাটি সবই নিল সেই চোরে,   বিদায় নিল যখন সে চোর আনন্দে দু’ হাত তুলে তুরকি নেচে অঙ্কগুলো কষতে গেলাম সব ভুলে।   বলতে আমার বুক ফেটে যায় কষ্ট করে বলছি তাও চোর পালাল অঙ্ক আমার মিলল না তো একখানাও! -----xx----

দিন বদলের ছড়া - বাসুদেব খাস্তগীর

দিন বদলের ছড়া দিন বদলের ছড়া - বাসুদেব খাস্তগীর জীবন চলে আধুনিক সব নিত্য নতুন যন্ত্রে, চলে নাতো জীবন কভূ ঝাঁড় ফুঁক আর মন্ত্রে।নতুন নতুন সব প্রযুক্তি নিত্য হচ্ছে যুক্ত, দুনিয়াটা হাতের মুঠোয় মানুষ স্বাধীন মুক্ত। দূরের বলেই কিছুই নেই নিজের ঘরেই বিশ্ব, প্রযুক্তি যার হাতে নেই সেইতো এখন নি:স্ব।

হে মহামানব - কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়

হে মহামানব কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় মানবতা, মানবতা - এটাই নতুন ইস্যু। নড়েচড়ে বসছে দেশের যতেক পিপু-ফিশু। মিছিল ক'রে, পোস্টার এঁটে বুকে পিঠে তকমা সেঁটে চিৎকারেতে আকাশ ফাটায় যদু হরেন বিশু। চারপাশের এই হুজুগ মাতায় মোদের ঘরের শিশু: 'মানবতা'-র ভয়ে শুকোয় রক্ত-শিরা-টিস্যু। একলা কাঁদে জন্মভূমি, কাঁদছি আমি, কাঁদছো তুমি- মানবপ্রেমী মহামানব কোথায় তুমি যীশু?

পুজোর মানে - দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

পুজোর মানে দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো মানে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা; পুজো মানে রোদ বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা পুজো মানে হিমেল বাতাস রাখালিয়া বাঁশি; পুজো মানে প্রেয়সীর নজরকাড়া হাসি। পুজো মানে হিমের ছোঁয়ায় শিউলি ফুলের ঘ্রাণ; পুজো মানে ঢাকের বাদ্যে ঘরে ফেরার টান। পুজো মানে তোমায় নিয়ে কোথাও বেরিয়ে পড়া; পুজো মানে পটো পাড়ায়, মায়ের মূর্তি গড়া। পুজো মানে নতুন পোশাক মিষ্টি খাওয়ার ধুম; পুজো মানে অষ্টমিতে নেই তো কারো ঘুম। পুজো মানে স্বর্ণযুগের বাংলা গানের স্মৃতি; পুজো মানে দশমীতে সিঁদুর খেলার রীতি। পুজো এলেই মায়ের কথা কেবলই মনে পড়ে; এবার পুজোয় মাগো তুমি আসছ আমার ঘরে।

দাদুর টাক - খোকন কুমার রায়

দাদুর টাক - খোকন কুমার রায় দাদুর টাক বাজায় ঢাক দেখ বানর হনু বসে, পুড়ুত পুড়ুত হুকো টেনে যায় সে শুধু কেশে। চর্মের হাল হয় কিসমিস হাড় কখানাই সার, তামাক খেতে নাতির কাছে পয়সা সে চায় ধার। হাত-পাগুলো ঝাটারকাটি লাঠি ভর দিয়ে চলে, গালে একটাও দাঁত নেই কথা ফোকলা মুখে বলে। চশমাখানায় বেজায় পাওয়ার নাতিকে দেখে হাতি, চামড়ার উপর লোম নেই যেন লেড়িকুত্তার সাথি। দাদুর হবে শেষের বিয়ে নিমতলার ওই মেয়ে, ঢাকবে চোখে তুলসিপাতা দেখবে না আর চেয়ে।

স্বপ্ন - সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

স্বপ্ন - সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি   সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি চড়ুই পাখি বাম বুকেতে বাধঁবে ছোট ঘর, স্বপ্ন আমার তাইতো আমি আজকে যাযাবর। বাতাস আমার বন্ধু আমি তার নই-যে কেউ তাইতো পাখির স্বপ্ন চোখে ভাঙি সাগর ঢেউ। কষ্ট পিছু নেয় আমারই ভয় ডাকেনা আমায় সঙ্গিবিহীন কষ্টসময় ভয়কে কেবল থামায়। গুনগুনিয়ে চোখের পানি মাঝ সায়রেই ঝরে আজ কিম্বা কাল পাবো ঠিক, আসবে চড়ুই ঘরে। -------xx------

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>