সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

গদাধর সরকার : যে মেয়েটা

যে মেয়েটা : গদাধর সরকার গদাধর সরকারের ছড়া -  যে মেয়েটা যে মেয়েটা ছড়ায় সাগর পারুল চাঁপার মনে যে মেয়েটা খুশির খবর পাঠায় হলুদ বনে যে মেয়েটা ঘুরে বেড়ায় শিরিন নদীর বাঁকে যে মেয়েটা আপন মনে উদাস দুপুর আঁকে যে মেয়েটা ধুলো ওড়ায় কুসুম পুরের পথে যে মেয়েটা আবির ছড়ায় লাজুক মনের মঠে যে মেয়েটা সাহস জাগায় আশার প্রদীপ জ্বেলে যে মেয়েটা রামধনু মন । সরায় আঁধার ঠেলে যে মেয়েটা রূপকথা পুর । নুপুর পরে নাচে যে মেয়েটা সোহাগ দিয়ে ফোটায় কুঁড়ি গাছে যে মেয়েটা রোদের কুচি ছড়ায় নদীর কুলে যে মেয়েটা মনের আগল সদাই রাখে খুলে যে মেয়েটা শালুক ফুলের আদর ভালোবাসে যে মেয়েটা খুশির পালক ছড়ায় সবুজ ঘাসে যে মেয়েটা টগর, পলাশ, তিতির পুরের ছুটি যে মেয়েটা নদীর সাঁকো । বুনো হাঁসের জুটি যে মেয়েটা সাঁতার কাটে গাঁয়ের পুকুর ঘাটে যে মেয়েটা কাগজ কুড়োয় নিঝুম পুরের হাটে যে মেয়েটা ঝুমঝুমি ভোর, কেবল কাছে ডাকে সেই মেয়েটাই বাঁশি আমার । হৃদয় জুড়ে থাকে

সাঈদুর রহমান লিটন - কাজের মেয়ে চারু

সাঈদুর রহমান লিটন - কাজের মেয়ে চারু ছড়াকারের কণ্ঠে ছড়া পাঠ। বাসন মাজে কাপড় কাচে মেঝে ও দেয় ঝাড়ু, সারাটা দিন চলতে থাকে কাজের মেয়ে চারু। বাজার করা রান্না করা এদিক ওদিক হলে, শর্তবিহীন চাকুরী তার এমনিতেই যায় চলে। মাথায় থাকে কাজের পাহাড় মেম সাহেবের ঝাড়ি, কাজ কর্ম সব ফেলে দিয়ে মন চায় যেতে বাড়ি। চোখের জলে বুক ভিজে যায় এঁটোবাসি খাওয়া, কাজটা ছেড়ে চলে গেলে জীবন রুটির তাওয়া? মাসের শেষে বাবা এসে বলবে দে মা টাকা, অল্প হলেও চারুর টাকায় ঘোরে বাড়ির চাকা।

লঘু গুরু - আলী হোসেন

লঘু গুরু - আলী হোসেন আলী হোসেনের ছড়া :  লঘু গুরু তুমি বন্ধু কাছের মানুষ, বলতে পারো সবই ইচ্ছা করলে পক্ষে বলো যেমন ইচ্ছে তেমন চলো ইচ্ছা করলে বিপক্ষেও আমার কিন্তু পক্ষে ছাড়া, বলতে নিষেধ সবই তুমি বন্ধু কাছের মানুষ, একটুখানি হেসে দু'হাত তুলে গাইতে পারো দরকারে হাত তুলতে পারো যেমন ইচ্ছা বলতে পারো আমায় কিন্তু যেতে হবে, শুধুই ভালোবেসে তুমি ভালোবাসতে পারো, তোমার মধ্যে মিশে থাকতে পারি যেমন খুশি বলবে না লাভ-জিহাদ-দূষী আমার মধ্যে তুমি এলেই সমাজ যে যায় রসাতলে, দেশ ভরে যায় বিষে আমার মধ্যে তোমার আসা, তোমার মধ্যে আমি লক্ষ বছর বেঁচে আছি ভ্রমর হয়ে কাছাকাছি বুঝছি না কে তুলে দেওয়াল পর করেছে কেউ জানেনা, কেবল জানে অন্তর্যামী ----------x---------- ছড়াকারের আরও ছড়া পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হাতটা ধর - ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য

হাতটা ধর - ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য   ইন্দ্রানী ভট্টাচার্যের ছড়া :  হাতটা ধর মনে আজ ধরতাই ঝাঁপতালে ফিরে যাই সেই শৈশবে একে দু'য়ে তিন চার মিলে মিশে একাকার হই বৈভবে জুড়ে জুড়ে চৌখুপি পরে নিয়ে সেই টুপি খুব হেঁটেছি হারাবার ভয় নেই খুশির দুহাতে যেই রঙ বেটেছি হাতে সব হাত ধর গোলটাই বড় কর পৃথিবী-সমান ছোট ছোট সুখ গুলো ভাগ করে বড় হল আকাশ প্রমাণ কালো রাত সব জেনে বিষাদকে নিল টেনে বুকের ভেতর ৷ আমরাও ঋণী থাকি যাপনের স্রোত মাখি হবে ভেবে ভোর -----xx----

কুড়িয়ে পাওয়া ঘুড়ি - মুন্সী সাদিক সালেহ

কুড়িয়ে পাওয়া ঘুড়ি - মুন্সী সাদিক সালেহ   মুন্সী সাদিক সালেহ -  কুড়িয়ে পাওয়া ঘড়ি কাঁটা তারের ওপর দিয়ে ঘুড়ি- ওড়াচ্ছে কে নীলাকাশটা জুড়ি? ঢাউস ঘুড়ির ওড়ার বাহার দেখে গাংচিল কি অমনি উড়তে শেখে? রঙ্গিন যে তার ঝালরগুলো বেশ! তারচেয়ে কি রঙ্গিন ঘুড়ির দেশ? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি ছিঁড়ে ঢাউস ঘুড়ি ছুটছে ধীরেধীরে! সুতোকাটায় গোত্তা খেতে খেতে সাধের ঘুড়ি আছড়ে পড়ল ক্ষেতে। দৌড়ে গিয়ে কুড়িয়ে নিলাম তাকে বন্ধুরা সব জুটলো আমার ডাকে। অবাক হয়ে দেখছি ঘুড়ির দেহে সোনার বাংলা লিখলো তাতে কে হে? তার মানে কি ঘুড়ির দেশেও রবি- এঁকেছিলেন সোনার বাংলার ছবি? কুড়িয়ে পাওয়া ঘুড়ি বলছে, খোকা- এমন করে ভাবছিস কিরে বোকা? এদেশ ওদেশ দুই দেশেতেই উড়ি, দুই দেশেতেই আমার নামটি ঘুড়ি। কাঁটাতারের বেড়ার সাধ্যি কি রে রাখতে পারে আমায় আটকে ঘিরে? সোনার বাংলা টুকরো করলো যারা ঘুড়ির খবর জানতো নাকি তাঁরা? বাহ কি মজা আমিও হব ঘুড়ি ইচ্ছেমতো উড়বো আকাশ জুড়ি। এপার বাংলা ওপার বাংলা মিলে 'সোনার বাংলা' ঠাকুর লিখেছিলে। আমার সোনার বাংলাই ভালোবাসি হাজার জন্মে বাংলায় ফিরে আসি।

গাঁয়ে এসো - ফজলুল হক মিলন

গাঁয়ে এসো - ফজলুল হক মিলন   ফজলুল হক মিলনের ছড়া :  গাঁয়ে এস তোমার জন্য শেষ বিকেলের রোদ হালকা ভেজা নরোম মেঘের আদর মিহি বাতাস মুগ্ধ পরশ মাখা দোল খাওয়া এক সবুজ মাঠের চাদর! মন ভরাবে দোয়েল পাখির শিষ চুপটি করে কলমী ফুলের বনে গঙ্গাফড়িং ধরতে যাবে যখন অনেক স্মৃতি পড়বে তোমার মনে। একটু আগাও - শাপলা ফোটা দিঘি ডাকবে কাছে মুচকি হাসি হেসে কাশবাগানের পাশ কাটিয়ে গেলে মটরশুটি টানবে ভালোবেসে। কলাই ফুলও হেসে কুটিকুটি বেলাশেষে শিশির ছোঁয়া পেয়ে ডাক দিবে আয়, আমন ধানের ক্ষেত ডাক দিবে আয়- প্রজাপতির মেয়ে। তাদের সাথে কাটবে বেলা ভালো গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যে যখন নামে জোনাকীরা গান শোনাবে তোমায় একটা চিঠি পাবে হলুদ খামে চিঠির ভাঁজে থাকবে গোলাপ কলি গাঁয়ে এসো - তাইতো তোমায় বলি । -------xx-------

চাকরি চাই - অমরেশ বিশ্বাস

চাকরি চাই - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস এর ছড়া -  চাকরি চাই লোকে বলে পুজো এলে সবাই খুশি হয় বলে বলুক লোকে তবে সত্যি মোটেই নয় ব্যথা যে খুব আমার বুকে কেমন করে বলি মুখে টাকাকড়ির আমাদানি নাই না আছে সঞ্চয়। ছেলেমেয়ে তাকিয়ে ঠায় বউ চেয়েছে শাড়ি ব্লেড কেনার পয়সা যে নাই মুখে লম্বা দাঁড়ি কেমন করে বায়না মেটাই এবার আমার হবে পেটাই বাঁচতে হলে বেচতে হবে বাপের ভিটে বাড়ি। পুজো এলে আনন্দেতে ভাবি ভেসে যাই কারখানাটা খুলবে কবে তা তো জানা নাই বছর বছর পুজো আসে আমার দুচোখ জলে ভাসে দুগগা মা'কে বলব এবার একটা চাকরি চাই। --------xx--------

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>