সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কোথায় যাচ্ছি? - জুলফিকার শাহাদাৎ

কোথায় যাচ্ছি? জুলফিকার শাহাদাৎ কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? পায়ে-পায়ে শুধু হোঁচট খাচ্ছি দেখছি মেঘের আনাগোনাও বজ্র-উল্কার আওয়াজ পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি জানে না কেহ জীবিত হয়েও নিথর দেহ কাঠ-কয়লায় মিশেছে জীবন কেবলই লাশের গন্ধ পাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? মানুষ নাকি হায়না আমরা? একে-অপরের তুলছি চামড়া মুখ দেখাদেখি বন্ধ রেখেছি আপনজনের রক্ত খাচ্ছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি? কোথায় ভাসছি? রক্তনদীর কিনারে আসছি সাঁতার জানি না, ডুবেই মরবো তবুও আমরা খুশিতে হাসছি কোথায় যাচ্ছি? কোথায় যাচ্ছি?

জানি না - সতীশ বিশ্বাস

জানি না সতীশ বিশ্বাস ছড়া লিখে গড়িয়ে দিই- সে ছড়া কোথায় থামে? ছড়া লিখে উড়িয়ে দিই- সে ছড়া কোথায় নামে? ছড়া লিখে ছড়িয়ে দিই- সে ছড়া কেউ কি কুড়ায়? ছড়া লিখে ভাসিয়ে দিই- কারো উত্তাপ কি জুড়ায়?

সুখ-শান্তি সর্ব - রব্বানী চৌধুরী

সুখ-শান্তি সর্ব সুখ-শান্তি সর্ব - রব্বানী চৌধুরী রাজা বলে রানীকে এইদেশে মানী কে? রানী বলে জানিনা রাজা বলে ফানি না? ভুলে গেলে আমাকে দেয় খানি-জামা কে? রানী বলে বাপ রে! দিতে আছো চাপ রে! আছি এক কাপড়ে পড়ে গেছি ফাঁপরে! রাজা বলে চুপ রে! ফাটকের রূপ রে দেখো নি তো দেখাবো লাথি মেরে শেখাবো আমি কতো জ্ঞানী রে! রানী বলে জানি রে! এছাড়া তো পারো না বিরোধী কে ছাড়ো না! তুমি কতো নিচু রে কে ঘুরবে পিছু রে? কল্যাণ করলে সৎপথ ধরলে মানী হতে পারবে নতুবা যে হারবে। রাজা বলে মানি না ওটা মানহানি না? রানী বলে রুক্ষ শাসন কী সূক্ষ্ম? রাজা বলে বুঝবো সুশাসন খুঁজবো। সৎপথে চলবো ন্যায়কথা বলবো। প্রজাদের মানবো সুখ-দুখ জানবো। সুখ-শান্তি সর্ব নয়াদেশ গড়বো।

হয়তো তাই - শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

হয়তো তাই   শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো তাই, অতি যান্ত্রিক জীবনাবর্তে আশা নিরাশার ঝঞ্ঝাবর্তে বেঁচে আছি আজও, পাই না পাই...... চাঁদ ওঠে, ডোবে ফুল ফোটে, ঝরে জীবনমঞ্চে নট নটি ঘোরে, চাই না চাই...... রোশনাই আছে, আছে হাহুতাশ কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ ফুটপাথ ভরা বেওয়ারিশ শিশু, মাই গো মাই...... আছে খরা, আছে উত্তাল বান আছে আলপথ, আকাশে বিমান সব আছে শুধু জীবনের মান, নাই রে নাই...... তবু রে ভাই, আজও মায়া আছে, আছে ভালবাসা স্নেহ, দয়া আছে, ভোরের কুয়াশা জীবনের আরও অনেক রশদ, ভাই রে ভাই...... এই যান্ত্রিক জীবনাবর্তে বেআইনের স্বর্গ, মর্তে বেঁচে আছি আজও, হয়তো তাই ।

শরৎ গাথা : আলী হোসেন

শরৎগাথা - আলী হোসেন  শরৎগাথা : আলী হোসেন  আকাশ কালো মেঘের ভেলা সকাল কিম্বা সন্ধ্যাবেলা চলছে দেখ বকের পাখায় ভেসে, দিচ্ছে পাড়ি             এদেশ ছাড়ি অচিন দেশে মামার বাড়ি যেই-খানেতে, আকাশ মাটি মেশে। আকাশ মাটির মনের কথা জল করেছে বুকের ব্যথা মুখের কালো দূর করেছে বেশ, ভাদ্র এসে                 ভদ্র বেশে আশ্বিন তার সঙ্গে মেশে শিউলি-কাশে ভরিয়ে দিল দেশ। শরৎ এলো হাওয়ায় ভেসে শিশির তারই সঙ্গে মেশে ঘাসের ডগায় রুপোর নাকের ফুল শরৎ আনে                  নতুন মানে দোয়েল শ্যামার নতুন গানে বাবুই বোনে নতুন কানের দুল কমতে থাকা বিলের জলে ডাকপাখিরা হেঁটে চলে পানকৌড়ি ডুবমারে মাছ ধরতে, এমন মাসে                 দুর্গা আসে লক্ষ্য থাকে অসুর নাশে মুর্খ চোরা মর্তে আসে মরতে। ------------****--------- * চো...

চোর পালালে - উজ্জ্বল বিশ্বাস

চোর পালালে চোর পালালে - উজ্জ্বল বিশ্বাস “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে” এই কথাটি মিথ্যা ভাই হাতেনাতেই মিলল প্রমাণ হলফ করেই বলছি তাই।   আসল কথা খুলেই বলি শুনুন সবাই মন দিয়ে অঙ্কে আমি ভীষণ কাঁচা সত্যি কথায় বলছি এ’   তাইতো সেদিন চোরকে দেখে শুয়েই ছিলাম চুপ করে একে একে গয়নাগাটি সবই নিল সেই চোরে,   বিদায় নিল যখন সে চোর আনন্দে দু’ হাত তুলে তুরকি নেচে অঙ্কগুলো কষতে গেলাম সব ভুলে।   বলতে আমার বুক ফেটে যায় কষ্ট করে বলছি তাও চোর পালাল অঙ্ক আমার মিলল না তো একখানাও! -----xx----

দিন বদলের ছড়া - বাসুদেব খাস্তগীর

দিন বদলের ছড়া দিন বদলের ছড়া - বাসুদেব খাস্তগীর জীবন চলে আধুনিক সব নিত্য নতুন যন্ত্রে, চলে নাতো জীবন কভূ ঝাঁড় ফুঁক আর মন্ত্রে।নতুন নতুন সব প্রযুক্তি নিত্য হচ্ছে যুক্ত, দুনিয়াটা হাতের মুঠোয় মানুষ স্বাধীন মুক্ত। দূরের বলেই কিছুই নেই নিজের ঘরেই বিশ্ব, প্রযুক্তি যার হাতে নেই সেইতো এখন নি:স্ব।

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>