বাজার - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস এর ছড়া : বাজার বাজেরে গিয়ে হটাৎই যেন মাথাটা ঘুরে গেল পড়ে যেতে দেখেই সবাই দৌড়ে ছুটে এল। কী হয়েছে, কী হয়েছে, পড়ল কেমন করে? কেউ বলে, যা নিয়ে আয় তো ডাক্তারকে ধরে। কি হয়েছে, পড়ল কেন? জানা তা দরকার বাজারে এখন এমন ঘটনা ঘটছে যে আকছার। ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিল কেউ বা দিল হাওয়া কেউ জানতে চায় সকালে কী হয়েছে খাওয়া? ততক্ষনে ডাক্তার বাবু হাজির হলেন এসে “কী হয়েছে?” চান জানতে শুকনো হাসি হেসে। ডাক্তারকে তখন খুলে বলল আত্মারাম ভাবিনি হবে ডালের এমন আকাশ ছোঁয়া দাম। বলুন দেখি তেলের দাম কোথায় গেছে চড়ে এমন যদি দাম হয় তবে কে যাবে না পড়ে? মাছ, মাংসের দামের কথা আর বলতে চাইনে বলা মুশকিল ও সব জিনিস কত কাল যে খাইনে। রাজভোগ নয়, শুধু দু-মুঠো ডাল ভাতই তো চাই দাম দেখে তো, হচ্ছে মনে তা ও ভাগ্যে নাই। পাঁচশ টাকার কড়কড়ে নোট ফুরোয় নিমেষেতে কত না ঘাম হয় ঝরাতে এক খানা নোট পেতে। সব জিনিসের দাম বাড়ছে হোক সে আলু, পেয়াজ হয় না কেন মানুষের দাম বাড়ার কোন রেওয়াজ। ডাক্তার বাবু, বাজারে এলেই বাড়ে রক্ত চাপ ছাপোষা সব মানুষ গুলোর বাঁচাই যেন পাপ। -------xx------
ক্রান্তি - দীপঙ্কর বর্মন দীপঙ্কর বর্মনের ছড়া - ক্রান্তি আকাশ মাঝে বিষাণ বাজে যুদ্ধ-জাহাজ ক্ষুব্ধ সাজে বইছে জোয়ার গাঙে মানুষ কাঁদে মারণ-ফাঁদে উষ্ণায়ণের নিস্ব বাঁধে শব্দে পাহাড় ভাঙে বাড়ছে শোষণ শাসন কালে, তান্ত্রিকতার মৌন জালে, বুর্জয়াদের ছলে; লড়ছে কিষাণ নিশান তুলে, যৌক্তিকতার তন্দ্রা ভুলে, সর্বহারার দলে। করছে আদল মাতাল তাঁরে, বর্বরতার অন্ধকারে, ভ্রষ্টাচারীর সাজে; বাজছে মাদল এ ঘোর রণে, রক্তিমতায় চণ্ডঞ্জাণে, শিক্ষা দেবার কাজে। আসছে তূফান ভীষণ দুলে, মৌলিকতার ঝাণ্ডা তুলে স্বত্বাধিকার বলে; হাসছে গোপাল রাখাল ছেলে, মিথ্যাচারের পাণ্ডা কেলে, ব্যাঙ্গবিকার ছলে। ঐ তো আসে ক্ষুব্ধ রাতে, চণ্ডাকালীর খড়্গ হাতে, ভীমরণে ভীম সেনা; ঐ তো ভাসে প্রেক্ষাপটৈ, ভণ্ডাচারীর স্বার্থ বটে বাড়ছে দশের দেনা আসছে ধেয়ে আসছে গেঁয়ে, মৎস্য-জীবির নৌকা বেয়ে, অগাধ মনের বলে; আসছে সারে আসছে ভারে, মসনদের ঐ সিংহ দ্বারে, শ্রমিক-কৃষক-জেলে। ভূঁইতে আলো মনমাতালো, রং-বেরংয়ের সোলতে গুলো, ক্ষীন দোটানায় জ্বলে, নাই তো ভালো ধূম ছড়ানোয়, চোখ ধ়াধাঁনোয় ভূত ভাবানোয়, প্রাণবায়ু যায় চলে। হয়তো কেহ সেবায় ভোলে, দাম্ভিকতার ঠান্ডা ঘোলে, আচ্ছা প্রবীণ ...