সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আলী হোসেন। দুই ছড়াক্কা

ছড়াকার আলী হোসেনের জনপ্রিয় ছড়া, ছড়াক্কা  অলীক সুখ - আলী হোসেন মুখের আড়ালে অন্য মুখ তাতেই দেখাও অলীক সুখ মুখোশ পরে বাসছো ভালো মাখিয়ে মুখে চাঁদের আলো আড়াল থেকে মারছো ছুরি করছো আমার পুকুর চুরি তাতেই নাকি পালটে দেশে আসবে সে এক নতুন যুগ! দেখাও, এযুগেরই নায়ক তুমি স্বপ্নপুরির সোনার মুখ বলছো তুমি রাজার মত সারিয়ে নাকি বুকের ক্ষত রথ ছুটিয়ে আসছো তুমি গড়তে নতুন ভারত ভূমি যাতে, ভোগ করবে এদেশবাসি মর্ত্যে বসেই স্বর্গসুখ! ---------x---------- ছড়াকারের আরও ছড়া পড়তে  এখানে ক্লিক করুন

রাজা সাজা - রূপক চট্টরাজ

রাজা সাজা - রূপক চট্টরাজ রূপক চট্টরাজের ছড়া :  রাজা সাজা রাজা সাজার শখ হয়েছে মুকুট কোথায় পাব সেই কথাটা ভাবছি আমি তুমিও একটু ভাবো রাজা সাজার শখ হয়েছে সৈন্য কোথায় পাব সেই কথাটা ভাবছি এখন তুমিও একটু ভাবো রাজার ছিল হাতি-ঘোড়া এখন কোথায় পাব সেই কথাটা ভাবছি আমি তুমিও একটু ভাবো রাজার ছিল ঢাল-তলোয়ার এখন কোথায় পাব সেই কথাটা ভাবছি আমি তুমিও একটু ভাবো রাজার এখন কামান বিমান সুইচ বোমা রকেট না হয় আনবে বিদেশ থেকে ভর্তি এখন পকেট কাচের ঘরে বসেই সুইচ টিপেই দেবে সাজা ধ্বংস করেই যুদ্ধ জয় করবে সুইচ রাজা

এই মুঠোতে - মালিপাখি

এই মুঠোতে - মালিপাখি মালি পাখির ছড়া -  এই মুঠোতে এই মুঠোতে অবাধ খুশি । চাঁদনি মনের আলো ! এই মুঠোতে তোমরা সবাই গানের মতো ভালো !! এই মুঠোতে টুনটুনি,বক, ঢেউ মোড়া ধান পাখি ! এই মুঠোতে ডুগডুগি মন। একলা জেগে থাকি !! এই মুঠোতে শাপলা পুরের রাখাল বাজায় বাঁশি ! এই মুঠোতে মোহর ছড়ায় কুরচি ফুলের হাসি !! এই মুঠোতে বাজনা গাঁয়ের শিউলি বাতাস ওড়ে! এই মুঠোতে ঝালকাঠি ভোর ছুটছে ঘোড়ায় চড়ে!! এই মুঠোতে কাঠবেলি, যুঁই, শিউলি, টগর ফোটে এই মুঠোতে আকাশ পুরের কু ঝিকঝিক ছোটে ! এই মুঠোতে কেবল নাচে ঝিমলি রাতের তারা ! এই মুঠোতে মেঘনা, ঘাঘট, রূপসা নদীর ধারা !! এই মুঠোতে মায়ের আদর,খোকন কোথায় যাবি এই মুঠোতে জলছবি ঘাস, পালকি পুরের চাবি ! এই মুঠোতে চাঁদের পাহাড়, ক্ষীরের পুতুল খেলা ! এই মুঠোতে হাতছানি দেয় সেই যে কিশোরবেলা!!

ছুটির পরে - নিলুফার মতিন

ছুটির পরে - নিলুফার মতিন ছুটির পরে -  লিলুফার মতিন ঢং ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে পড়ালেখা ছুটি রঙ রঙ রঙ নানা সাজে ফুল হয়ে আয় ফুটি শোন শোন শোন বিকেলবেলা আয়রে সবাই জুটি দূর দূর দূর মাঠের পরে খেলবো লুটোপুটি। কল কল কল নদীর মত আয় নারে সুর তুলে বল বল বল প্রাণের কথা বল না মন খুলে। লাল লাল লাল সুর্য ডোবে পশ্চিমাকাশ পরে চল চল চল দল বেধে সব যাই ফিরে যাই ঘরে।

কাকলি গুহ রক্ষিত। ছড়াক্কা।

এখনও বসন্ত আসে - কাকলি গুহ রক্ষিত   কাকলি গুহ রক্ষিত। ছড়াক্কা। এখনও পলাশের রঙ লাল এখনও মাঝি ধরে থাকে হাল এখনও কোকিলের ডাক শুনি এখনও মাস দিন ক্ষণ গুনি চারিদিকে গোলা বারুদের গন্ধ প্রতিবাদ কলকারখানা বন্ধ তবুও তো বাগানে ফুল ফোটে চাঁদ ওঠে,হেসে ওঠে আগামীকাল।

শংকর দেবনাথ। ছড়াক্কা।

আলো হাসেআঁধারে - শংকর দেবনাথ শংকর দেবনাথ এর ছড়াক্কা যদি থাকে বাবা আর মা ধারে। কোনো ভয় ভয় নয়- মনও রয় খুশিময়। কালো ঘুচে আলো হাসে আঁধারে।

স্মৃতিমাধুরী দাস। ছড়াক্কা

মুকুর - স্মৃতি মাধুরী দাস স্মৃতি মাধুরী দাসের ছড়াক্কা মুকুর জেগে থাকি হাতে নিয়ে প্রিয় মুখ ছায়া ভেসে যায় একে একে ফেলে আসা জলছবি কবে কোন আলো মেখে সেজে ছিল সে পূরবী মন জুড়ে তোলপাড় খুঁজে ফেরে মায়া।

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>