সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

পেটমোটা হনুমান - পবিত্র সরকার

পেটমোটা হনুমান পবিত্র সরকার পেটমোটা হনুমান রোজ মাঝরাতে, পাঁউরুটি মেখে খায় আলকাতরাতে। কাঠকাটা গুঁড়ো দিয়ে তেলে ভেজে করা নিমকি ও ঝুরিভাজা খায় বাটিভরা। চাই নিমপাতা দেওয়া ধোঁয়া-ওঠা চা, হনুমান জেনো আর কিছু ছোঁবে না। এ সব না পায় যদি ভারী যায় খেপে, কাগজে কাগজে দেয় গালাগাল ছেপে। তাই লোকে একেবারে ঘাঁটায় না তাকে; যা চায় তা খেতে দিয়ে খুশি করে রাখে।

কাকের বিয়ে - জুলফিকার শাহাদাৎ

কাকের বিয়ে জুলফিকার শাহাদাৎ  কাক গিয়েছে কোলকাতাতে সঙ্গে ছিল কোকিল, বলল কী কাক? শোন কোকিলা আমার বিয়ের উকিল... গঙ্গাপুরের এক কানিবক, বলবো তাকে গিয়ে, করতে এলাম বিয়ে। কোকিল বলল, আজ্ঞে, কোলকাতাতে ঘুরেফিরে কয়েকটা দিন যাকগে। এই সুযোগে খবর নেব কোথায় আছে ময়না? তাকে নিয়ে কিনতে হবে নতুন বউয়ের গয়না। কাক বলল, তাইরে কেনাকাটা করে না হয় গঙ্গাপুরে যাইরে। গঙ্গাপুরের উকিল বাবার পছন্দ খুব মিষ্টি খাবার তাই বলছি, দু’চার কেজি দই মিষ্টি নিসরে, কোকিল বলল, ইসরে! কোলকাতাতে ঘুরে ফিরে দই মিষ্টি নিয়ে কাক ও কোকিল হাজির হল গঙ্গাপুরে গিয়ে। গঙ্গাপুরে যাবার পর বক বলল, “কী খবর? ওহ, হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি, তোমার জন্য হন্যে হয়ে পাত্রী অনেক খুঁজেছি। ভাগ্য তোমার যা মন্দ কারোরই নও পছন্দ। দাও তো এবার ফি গো দেখবো ভেবে ভবিষ্যতে করতে পারি কী গো!” কী ঘটেছে তৎক্ষণাৎ বলছি শুনুন, অকস্মাৎ- মাথার উপর ভাঙল যেন হাঁড়ি, গোঁমড়া মুখে কাকটি তখন উড়াল দিল বাড়ি। ---------xx-------

মাননীয় নিতাইবাবু - সতীশ বিশ্বাস

মাননীয় নিতাইবাবু সতীশ বিশ্বাস মহান এবং মান্যগন্য ভেবে খুন দেশের জন্য সবাই বলে, ‘ধন্য’ ‘ধন্য’ একটু গৃহী, অধিক বন্য মাননীয় নিতাইবাবু! বাঁকা হাসি কুটিল ঠোঁটে গদি তার তৈরি নোটে মুখে তার ভাষণ ফোটে জেলে বসে লড়েন ভোটে মাননীয় নিতাইবাবু! সভায় জনগণকে তোষেন বিরোধী দলকে দোষেন পেষাদার গুণ্ডা পোষেন জনতার রক্ত চোষেন মাননীয় নিতাইবাবু! ফাঁক পেলে চাটেন আচার বাধা দিলে মারেন আছাড় নেশা আছে খ্যামটা নাচার নারী, শিশু করেন পাচার মাননীয় নিতাইবাবু! ফোন করেন মধ্যরাতে নিজেও খুনী গব্বো তাতে ঘা যে তার সব্বো গা-তে নেই কোন সন্দ তাতে মাননীয় নিতাইবাবু! মুখ তার মুখোসে ঢাকা বাম হাত দারুণ পাকা কোষাগার করেন ফাঁকা সুইসব্যাংকে রাখেন টাকা মাননীয় নিতাইবাবু! মাছ দেখলে নাড়েন গোঁফ চুপিচুপি ফেলেন টোপ চেঁচালে বলেন, ‘চোপ’ ঝোপ বুঝে মারেন কোপ মাননীয় নিতাইবাবু! অ-স্থানে কু-স্থানে গ্যাছেন মন্দিরেও টাকা দ্যাছেন প্রতিবাদ করলে মুণ্ড ছ্যাঁচেন সাংসদ কেনেন ও ব্যাচেন মাননীয় নিতাইবাবু! পাপ করে লাফ মেরে দেন পথের কাঁটা সাফ করে দেন ধর্ষিতাকে গাপ করে দেন বাসর ঘরে সাপ ছেড়ে দেন মাননীয় নিতাইবা...

চড়াই পাখি - জিমির ছড়া

চড়াই পাখি জিমি চড়াই পাখি চড়াই পাখি আমার কথা শুনছো নাকি একটু এসো কাছে, আসছো নাকো চড়াই পাখি ফুরুড় করে দিয়ে ফাঁকি বসছো গিয়ে গাছে?

বাড়ি - দেবাশিস বসু

বাড়ি - দেবাশিষ বসু   দেবাশিস বসু রূপসা নদীর সাঁকো আমায় কেন ডাকো বললে ও ভাই আজ সারাদিন খাতায় পাতায় আঁকো! যেই এঁকেছি নদীর দু-কুল, যেই এঁকেছি পাখি আমার সবুজ গাঁ-কি অমনি দেখি হাজার নাচের রাখী! আলো আশার ফুল হয়ে সব বললে কাছে এসে ফুটবো ভালোবেসে ছুটবো চলো নতুন গানের দেশে! দেশ মানে কি আকাশ, নাকি যা খুশি হয় ডাকো? হৃদয় জুড়ে থকো গন্ধ ফুলের সোহগ রেণু মাখো! হাতছানি দেয় রূপকথা আর তাল তমালের সারি বুঝতে তখন পারি সেই তো আমার হারিয়ে যাওয়া বাড়ি। -------xx------

বাংলাটা ঠিক আসে না! - ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

বাংলাটা ঠিক আসে না! বাংলাটা ঠিক আসে না! - ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-কথায় হাসে না জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসেনা। ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে ‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক স্বপ্নে ভাসে না জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না। ‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফাস্ট’ ল্যাঙ্গুয়েজ হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি, হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ। কী লাভ বলুন বাংলা প’ড়ে? বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে? বেঙ্গলি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ তাই, তেমন ভালোবাসে না জানে দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না। বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই কোনও ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে? ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’ এদের পাশে না জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না। বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল প্যানপ্যানে শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে আর ঘ্যানঘ্যানে। কীসের গরব? কীসের আশা? আর চলে না বাংলা ভাষা কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি মাসে না? জানেন দাদা, ...

পাখির ছড়া - রূপক চট্টরাজ

পাখির ছড়া   পাখির ছড়া - রূপক চট্টরাজ একটি চড়াই সন্ধে হলেই উড়ে এসে বসত গিয়ে পোড়োবাড়ির ঘুলঘুলিতে, টগর ফুলের গাছ ছিল এক বাড়ি ঘেষে সেই গাছেতে করত খেলা বলবুলিতে। বুলবুলিটার লাল ঝুটি আর পুচ্ছ কালো ডালে বসেই সুর ভাঁজত একা একা -- চড়াই উধাও! যেই না ফোটে ভোরের আলো কেউ জানে না কোথায় গেল, নাই রে দেখা।

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>