সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অজ্ঞতার দুঃখ - পবিত্র সরকার

অজ্ঞতার দুঃখ  - পবিত্র সরকার  পবিত্র সরকারের ছড়া কত কী যে জানা হল না জীবনে কত কী যে জানা বাকি রে কেন চোখ বুঁজে ঘুমাই আমরা কেন টাকে তেল মাখি রে কেন রাত হয় দিন শেষ হলে কেন রাত শেষে ভোর হয় কেন ভাত খেলে খুব ঘুম পায় কেন দুধ খেলে জোর হয় আমরা গরমে কেন ঘেমে মরি বাবুরা ঘুমোয় এসিতে কেন কে বড় তা নিয়ে ঝগড়া রোনালদো আর মেসিতে কেন হাতি বড় পিঁপড়েরা ছোট; উল্টোটা হলে কী হত ; রাজার যুদ্ধে কেন যে প্রজারা দলে দলে হয় নিহত খিদের জ্বালাতে আত্মহত্যা কেন যে করছে চাষিরা --- এই নিয়ে নাকি ফিশফিশ করে সবখানে পিসিমাসিরা কেন এই নিয়ে পৃথিবী ফাটেনা তার উত্তর খুঁজেছ? এ সবের আছে কী যে মানে,সেটা বুঝেছ? বলো কী বুঝেছ। ---------xx---------

বডিবিল্ডার - রতনতনু ঘাটি

বডিবিল্ডার - রতনতনু ঘাটি   রতন তনু ঘাটির ছড়া ঘুম থেকে ওঠে শুনি সে কী চিৎকার জেঠুর বন্ধু তিন বডিবিল্ডার ইয়াহু মাসল অত কে দেখেছে কবে? ওজন তো কম করে দু'শো কেজি হবে। এসেছেন আমাদের এই বাড়িতেই আমরা ছোটরা সবে কাছে গেছি যেই একজন বললেন, 'কী নাম তোমার?' তক্ষুনি আমি ছুট, কাছে থাকি আর? খুড়তুতো বোন মিঠি ছুটছে পিছনে যেন ডোরাকাটা বাঘ বেরিয়েছে বনে। 'অ্যাই দাদা, পারছি না, একটু দাঁড়া রে!' ম্যারাথনে ছোটে যারা, এত জোরে পারে? এসেছি পুকুর পাড়ে, দম নিয়ে বলি, 'এ বাড়িতে থাকা, নয় পিসিবাড়ি চলি।' 'অত বড়ো চেহারার মানুষকে লোকে টিভি ছাড়া কাছ থেকে দেখেছে কি চোখে? চল দাদা ফিরে যাই, দূর থেকে দেখি ওই তো ছুটছে পিলু ভয় পেয়েছে কি?' তিনজন পায়ে-পায়ে ঢুকলাম বাড়ি জেঠিমা মস্ত রসগোল্লার হাঁড়ি রাখতেই খুব খুশি তিনজন ফ্রেন্ড তিনশোটা খেতে লাগে তিরিশ সেকেন্ড তিন কেজি ভেজা ছোলা, টম্যাটো খানিক জেঠু হেসে বললেন, 'আর একটু দিক?' দু'ডজন করে ডিম সেদ্ধ খাবেন খাতির হচ্ছে ঠিক? জেঠুও ভাবেন। বড়ো বড়ো তিন খানা বারকোশ পেতে তিনশোটা লুচি ভেজে মা দিলেন খেতে। সঙ্গে বেগুন ভা...

সতীশ বিশ্বাসের ২ ছড়াক্কা

সতীশ বিশ্বাসের ২ ছড়াক্কা  সতীশ বিশ্বাসের ছড়া জীবন যাদের কাছে হাট বা বাজার, জানে শুধু বেচা-কেনা, বোঝে শুধু লেনা-দেনা। বোন,বন্ধু, দিদি,ভাই, কোনই তফাত নাই। লোভে ভরা মগজটি বাদশা-রাজার। ডিগবাজি কী? করবে-রাজনীতি? খেতে পারো ডিগবাজি? বেশ, যদি পারো তবে আগে চেলা হতে হবে কোন এক মন্ত্রীর। রেখো সদা নতশির। তিনি যা কবেন, তাতে বলা চাই-‘হাঁজি’-‘হাঁজি’। -------xx-------

মনের কথা - অমরেশ বিশ্বাস

মনের কথা - অমরেশ বিশ্বাস অমরেশ বিশ্বাস মনটা যদি পাখা মেলে কে রাখে আর ধরে দরজা এঁটে তখন তাকে যায় না রাখা ঘরে। ফুড়ুৎ করে যায় সে উড়ে যেথায় যেতে চায় মনকে বেঁধে রাখবে কে চার দেওয়াল সীমানায়। উড়ে গিয়ে আকাশেতে পাখির সাথে ওড়ে সবুজ ঘাসের গালিচাতে লুটিয়ে সে পড়ে। মন চাইলে যায় সে উড়ে মেলে দিয়ে ডানা এমন সুযোগ পেলে মনে কে রাখে আর মানা। আকাশ তলে খালে বিলে খোলা মাঠের দেশে যেথায় আকাশ মাটির বুকে পরম স্নেহে মেশে মন চলে যায় সেইখানেতে সেথায় করে খেলা ফুল পাখিদের সাথে খেলে যায় কেটে তার বেলা। খোলা আকাশ খোলা বাতাস সেথায় মানা নাই ভরলে উড়ান মন বলে চল সেথায় চলে যাই। কোথাও না যাই চাও যদি তাই নাও মানা সব তুলে ঘরকে খোলা আকাশ ভেবে দুঃখ যাব ভুলে।

ওয়ান টু টেন - শ্যামলী দাস

ওয়ান টু টেন  ওয়ান টু টেন - শ্যামলী দাস ওয়ান টু থ্রি হোমটাস্ক ফুল কমপ্লিট এখন আমি ফ্রি টু থ্রি ফোর বাংলা ছড়া? শোনো তবে বলছি -'লিচুচোর।' থ্রি ফোর ফাইভ স্নানের সময় আজ পুকুরে দেবোই দেবো ডাইভ । ফোর ফাইভ সিক্স আতা গাছে চড়বো যখন তোলো কিন্তু পিকস । ফাইভ সিক্স সেভেন ঠাম্মা বলে এই আর্থ-এই আছে নাকি হেভেন ! সিক্স সেভেন এইট বিকেলবেলা খেলতে যাবো সাথে ক্রিকেট কিট । সেভেন এইট নাইন আমার আঁকা ছবি দেখে বললো জেঠু - 'ফাইন !' এইট নাইন টেন এখন আমি লিখবো ছড়া নিয়ে কাগজ পেন ।

📚 ছড়াকার অনুযায়ী ছড়া খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

📙 ছড়ার নাম অনুযায়ী খুঁজুন 🔍👈 এখানে ক্লিক করুন

আরও দেখান

============🔰 প্রধান সম্পাদকের কথা 🔰=============


আলী হোসেন
===================
প্রধান সম্পাদক,
বাংলা সাহিত্য : অনলাইন ম্যাগাজিন,
সমাজ বদলাবে - এটাই চিরন্তন। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই শুরু হয়েছে এই বদলে যাওয়ার যাত্রা। সেই যাত্রা মানুষ থামায় নি, থামবেও না। কিন্তু বদলে যাওয়ার গতি এতটাই বেগবান হয়েছে যে, একে আর ‘ধীর গতি’ বা বাতাসের ‘মৃদুমন্দ’ গতির সাথে তুলনা করা যাচ্ছে না। বিগত তিন দশক ধরে তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানব সভ্যতা যে বেগে বিকশিত হচ্ছে তার তুলনা ইতিহাসে নেই। আর একারণেই এই বদলে যাওয়াকে আমরা কোন মতেই উপেক্ষা করতে পারব না।

সাহিত্য চর্চার মাধ্যম এই ‘বদল-ঝড়ের’ মুখে পড়েছে। মুদ্রণ-নির্ভর সাহিত্য চর্চার যে ধারা, তার বিকল্প মাধ্যম মুদ্রণ-সাহিত্যের ঘাড়ে বিষ-নিঃশ্বাস ফেলছে। এই বিকল্পকে (বদলকে) মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আর এই বদলে যাওয়া মাধ্যমটাই হল ‘অন-লাইন’ মাধ্যম। বদলাতে যখন হবেই, তখন আসুন-না, একটু আগে-ভাগেই বদলাই।
 
তাছাড়া, অন-লাইন মাধ্যমের কিছু সুবিধাও আছে। ১) প্রতেক পাঠক লেখা পড়ার পর নিজস্ব মতামত জানানোর স্বাধীনতা পায়, মুদ্রণ-সাহিত্যে যা সবসময় পাওয়া যায় না। এতে পাঠক-লেখক কাছাকাছি আসতে পারেন দ্রুত এবং সহজেই। ২) পাঠকের ভৌগোলিক সীমানা সীমাহীন হয়ে যায়। ৩) পাঠক একই খরচে অনেক ম্যাগাজিন পাঠ করার সুযোগ পান। ৪) একই খরচেই তিনি জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনও মেটাতে পারেন।
 
‘বাংলা সাহিত্য’ এই অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথাটাও মাথায় রেখেছে। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি আম-বঙালির প্রয়োজনীয় সূলুক-সন্ধান দেওয়ার ব্রত নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে বাংলার সাহিত্যাকাশে। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরী করার লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা সাহিত্য’। আপনরা সাথে থাকবেন - এই আশা নিয়েই শুরু করছি আমাদের দ্বিতীয় ভাবনা...>>>